Galaxy Note 10 Screen Protector Tempered Glass,

Monday, April 30, 2018

ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে চাঁদে গড়ি বাড়ি


ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে
সাগর দিই পাড়ি,
ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে
চাঁদে গড়ি বাড়ি।
ইচ্ছে করে তোমার কোলে শুয়ে
গুনি স্বপ্নতারা,
ইচ্ছে করে বৃষ্টিতে ভিজি তোমায় নিয়ে
সর্দি আনি ভাড়া।
ইচ্ছে করে কবিতা লিখি তোমার
মায়াবী আঁখির ঐ ছন্দে,
ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই
তোমার ভেজা চুলের গন্ধে।
ইচ্ছে করে রাগিয়ে তোমায়
আচর এঁকে দিই গালে,
ইচ্ছে করে কৃষ্ণ সেজে
বাঁশি বাজাই কদম ডালে।
ইচ্ছে করে তোমার খোপায়
গোলাপ হয়ে ফুটি,
ইচ্ছে করে তোমার মিষ্টি হাসি
বৃষ্টি হয়ে লুটি।
ইচ্ছে করে তোমার চাঁদ বদনে
শোভার হই মাঝি,
রূপ গহ্বরের ঐ কারুকাজে
যুদ্ধে জেতা গাজী।
ইচ্ছে করে জোৎস্না হয়ে
তোমার অঙ্গে করি বাস,
শুধু চাইনা তোমার চোখে
আমার সর্বনাশ।

আলুভর্তা জীবনে খায়নি এমন বাঙালি মিলবে না

আলুভর্তা জীবনে খায়নি এমন বাঙালি মিলবে না। শুধু আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে ভাত মাখিয়ে পেট ভরে একবেলার খাবার শেষ করে উঠে যেতে পারি আমরা বাঙালিরা। 
পাঁচশো বছর আগের চিত্র কিন্তু একেবারেই আলাদা। মরিচ তো সবে এসেছে ভারতে কিন্তু যার নামে এই ভর্তা সেই আলুর নামই তখনও শুনেনি বঙ্গবাসী। 
খ্রিস্টপূর্ব ৫,০০০ বছর আগেই আজকের পেরু আর বলিভিয়ার ইনকা সভ্যতার মানুষ আটা বানাতো আলু দিয়ে। কলম্বাসের আবিষ্কৃত সমুদ্রপথে সেই আলু ইউরোপের বাজারে আসে ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে। নবাবী আমলের সময়টাতেই বাঙালিও আলুকে সাদরে বরণ করে নেয় তার রোজকার মেন্যুতে। 
আর এভাবেই আলুর ভর্তা সুত্রপাত বাঙালির ডায়নিং টেবিলে। শুকনো মরিচ পুড়িয়ে, কাঁচা পেয়াজ কুঁচি আর সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে ছেনে তৈরি হয় অত্যান্ত মুখরোচক এই খাবারটি। সাথে ধনিয়া পাতা থাকলে তো কথায় নেই।






বিশ্বের সকল দেশেই পালিত হচ্ছে আজ মহান মে দিবস

আজ পহেলা মে,মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের আন্তর্জাতিক সংহতি প্রকাশের এক ঐতিহাসিক গৌরবময় দিন। আজ থেকে ১২৭ বছর আগে ১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের ‘‘হে’’ মার্কেটে শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে ঘর্মঘট আহবান করে শ্রমিকরা।
এতে প্রায় ৩ লাখ মেহনতী মানুষ অংশ নেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনরত ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের রুখতে মিছিলে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। দাবি আদায়ের জন্য সেদিন শ্রমিকদের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল শিকাগোর রাজপথ। সাথে সাথে মৃত্যু বরণ করেছিল ১০জন শ্রমিক।
আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় গ্রেফতারকৃত ৬ শ্রমিককে। কারাগারে বন্দিদশায় এক শ্রমিক নেতা আত্নহনন ও করেন।
শ্রমিকদের এই আত্নত্যাগ ও রক্তস্নাত ঘটনার মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় ৮ ঘন্টা প্রতিষ্টার সংগ্রামের ঐতিহাসিক বিজয় হয়।
শ্রমিকদের আত্নত্যাগের বিনিময়েই সেদিন মালিকরা স্বীকার করে নিয়েছিল শ্রমিকরাও মানুষ। তারা যন্ত্র নয়,তাদেরও বিশ্রাম,আনন্দ ও বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে।
১৯৮৯ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে দ্বিতীয় আত্নর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে দিবসটিকে ‘‘মে দিবস’’ হিসেবে পালনের সিদ্ধামত্ম হয়। সেই থেকে বিশ্বব্যাপী দিনটি মহান মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
বিশ্বের সকল দেশেই পালিত হচ্ছে আজ মহান মে দিবস। আজ বিশ্বব্যাপী সরকারি ছুটির দিন। মে দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, র‌্যালি, সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করেছে।
সব কিছুই হবে কিন্ত আমাদের দেশের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী আর অধিকার যা আজও পুর্ন প্রতিষ্ঠা পায়নি, তাই হয়তো রয়ে যাবে বরাবর আগের মতোই।
আমরা চাই অন্যান্য উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশে সকল পেশার সকল শ্রমিকদের উপযুক্ত বেতন ধার্য্য করে তাদের যথাযথ বেতন ভাতা সহ নানা অধিকার আদায়ের মাধ্যমে সার্বিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হউক আজকের এই মহান দিনে। তাহলেই জাতিয় ভাবে মে দিবস আমাদের দেশে স্বার্থক হবে।


এই প্রকৃতি যেন মনে করিয়ে দেয় কিছু মানুষের ভালবাসার কথা।

এই প্রকৃতি যেন মনে করিয়ে দেয়
কিছু মানুষের ভালবাসার কথা।
এই বৃষ্টি ভেজা দিনে,কারো হাতে হাত রেখে
হাজারো স্বপ্ন জাল বোনা।
প্রকৃতি যেন ফিরে ফিরে অাসে
না ফেরা তুমি,অাছো গহীনে মিশে।
তুমি তোমাতে মিশে, অামি একা,
প্রকৃতির সাথে হয়ে যায় বার বার দেখা।
শুধু বাকি থাকে, না বলা কথা।


আজ মহান মে দিবস শ্রমিকের ঘামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন

আজ মহান মে দিবস। শ্রমিকের ঘামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন। তাই বিশ্বের দেশে দেশে শ্রমের ন্যায্য মূল্য আর শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সাধারণ ছুটি অব্যাহত রেখেছে। হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচিও।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এবারও পালন করা হবে মে দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বেসরকার উন্নয়ন সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়নগুলোও হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচি।
১৩১ বছর আগে পহেলা মে-তে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্টেকে শ্রমের ন্যায্য মূল্য ও দৈনিক আট ঘণ্টার কাজের দাবিতে ঘর্মঘট আহ্বান করেন শ্রমিকরা। এতে প্রায় ৩ লাখ শ্রমিক অংশ নেন। শ্রমিকদের আন্দোলন দমন করতে সেদিন সমাবেশে পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে অনেকে নিহত হন। এছাড়া গ্রেফতার করা হয় অনেককে। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে ৬ শ্রমিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয় সে সময়কার শাসকগোষ্ঠী। কারাগারে বন্দি অবস্থায় এক শ্রমিক আত্মহত্মা করেন।
এই আন্দোলনের ফলে শ্রমিকের অধিকার আদায়ের পথ প্রশস্ত হয়। মালিকরা স্বীকার করে নেয়, শ্রমিকদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। কাজের সময়সীমা কমে নেমে আসে ৮ ঘণ্টায়। এরপর ১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শ্রমিকের অধিকার আদায়ে একটি দিবস পালনের জন্য পহেলা মে ‘মে দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সরকার শুধু দিবসটি পালনই নয়, শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় আইনেও অনেক পরিবর্তন, সংযোজন এনেছে। গঠন করা হয়েছে শ্রম আদালত। যেখানে শ্রমিককে মামলা লড়ার সামর্থ্য না থাকলে বিনামূল্যে আইনি সহায়তাও দেওয়া হয়।
গর্ভরতী মা শ্রমিকের জন্য বেতন ভাতাসহ ১১২ দিনের ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের আগে ৫৬ দিন ও পরে ৫৬ দিন ছুটি পান তিনি। এছাড়া জন্মদানের সময় মা মারা গেলে সন্তানকে উত্তরাধিকারী প্রসূতি কল্যাণ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আর সন্তান মারা গেলে স্বামীকে উত্তরাধিকারী ভাতা প্রদানের বিষয়টিও আইনে উল্লেখ রয়েছে।
সরকারের একটি শক্তিশালী ও কার্যকরী আইনের কারণে দেশে এখন বলতে গেলে প্রায় কোনো শ্রমিককেই আর মালিকরা বিনা নোটিশ বা পারিশ্রমিক ব্যতিরেকে চাকরিচ্যুত করতে পারে না। এক্ষেত্রে অন্তত তিন মাসের নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করতে হয়। সে সময় শ্রমিক তার বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। অথবা বেতন-ভাতা পরিশোধ করেই চাকরিচ্যুত করা হয়।
শ্রম আদালতও সব সময় শ্রমিকের পক্ষেই যায়। একটি কথা প্রায় প্রচলিতই হয়ে গেছে, যে শ্রম আদালতে মামলা করলে শ্রমিক হারে না। আজ বা কাল, যেদিনই হোক মালিককে তার পাওনা পরিশোধ করতেই হয়।
তবে গার্মেন্ট শিল্প বা বিভিন্ন ধরণের কারখানার শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বার্থরক্ষার বিষয়টি প্রায় সময়ই ব্যত্যয় দেখা যায়। বিশেষ করে হুটহাট কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা কিংবা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার বিষয়গুলো এখনো মীমাসিংত নয়।